Showing posts with label features. Show all posts
Showing posts with label features. Show all posts

Wednesday, May 4, 2022

পাকিস্তানের শান্তি কতোদূরঃ একটি আলোচনা

=====================================

বর্তমান পুঁজিবাদী কর্পোরেট গণতন্ত্রে ৪টি পক্ষকে এক করতে পারলে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা যায়। দুর্নীতি একমাত্র টুলস্ যা এই ৪টি পক্ষকে এক হতে সাহায্য করে। এ ৪টি পক্ষ হলো- এক সেনাবাহিনী তথা নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী, দুই আদালত, তিন নির্বাচন কমিসন, আর ৪ নম্বর হলে রাজনৈতিক দল। আমরা এই চারটি পক্ষ কিভাবে দেশে ক্ষমতা বদলাতে পারে তা পাকিস্তানে ইমরান খানের পতন প্রত্যক্ষ করে প্রমাণ পেয়েছি। আমাদের দেশেও এমনই চলছে। একটু চোখ-কান খোলা রাখলে তা সহজেই বুঝায় যাবে। তবে এর সাথে পঞ্চ পাণ্ডবের ৫ নম্বর শক্তি হলো সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। যে সকল দেশের সরকার দুর্নীতি করেও সাম্রাজ্যবাদীদের তল্পীবাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তারা রেহাই তো পায়ই বরং উল্টো সহায়তা পায়। অন্যদিকে যারা দুর্নীতি না করে, নিজ দেশের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে পররাষ্ট্রনীতি প্রবর্তনে সচেষ্ট হয়- তাদেরকে এই চারটি পক্ষকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এটাই পশ্চিমা গণতন্ত্র। যা স্বৈরতন্ত্রকেও হার মানিয়েছে।

নিশ্চয়ই আমি একজন বাংলাদেশী এবং ইমরান খানকে পছন্দ করি। তিনি একজন ক্রিকেট লিজেন্ড। ইমরান খান  একজন কেবল একজন সমাজসেবক নয় শিক্ষানুরাগীও। ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ ছাড়াও তিনি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাজনৈতিক দল গঠন থেকে ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত আমরা তার সম্পর্কে সামান্যই জানতাম। কিন্তু প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নিয়মিত একাধিক সংবাদ কর্মীর  বক্তব্য, টিভি টক-শো এর মাধ্যমে যা জানতে পেরেছি ইমরান খানের নেতৃত্বের সরকার চলাকালীন পাকিস্তান উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথেও সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। এমন কি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের অবনতি দৃশ্যমানভাবে কম হয়েছে। বিশ্ব নেতৃত্বের অংশ হতে পেরেছিলো ইমরান খান।

আগেই বলেছি সাম্রাজ্যবাদিরা দরিদ্র ও পিছিয়ে পরা দেশসমূহে দুর্নীতি প্রোমোট করে। দুর্নীতিবাজ লোকেরা ক্ষমতায় থাকলে সাম্রাজ্যবাদিদের সুবিধা হয়। তারা অনায়াসেই তাদের স্বার্থের অনুকূলে পররাষ্ট্রনীতি প্রবর্তনে রাষ্ট্রগুলিকে বাধ্য করতে পারে। আমেরিকার বিশ্বব্যাপী একাধিপত্যতা আজ খর্ব করতে চলেছে চীন-রাশিয়া যৌথভাবে। রাশিয়া ও চায়নাকে সরাসরি কিছু করতে না পেরে আমেরিকা চায়না-রাশিয়াকে সমর্থন করে এমন দেশগুলোতে রেজিম চেঞ্জ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নেপাল, শ্রলঙ্কা, ইউক্রেন, পাকিস্তান নিকটতম উদাহরণ।

পাকিস্তানের আর্মি, আদালত, নির্বাচন কমিসন যে আমেরিকার পক্ষে তা সার্বিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বা বলা যায় পক্ষগুলো তার প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছে। ইমরান খানের পতন হয়েছে এবং ইমরান খান পাকিস্তানের জনগণ সমগ্র শক্তির প্রতিপক্ষ তাও প্রমাণিত হয়েছে। আমেরিকান ভাষ্যকারের বক্তব্য অনুসারে যে চারটি কারণে ইমরান খানকে সরানো হয়েছে, সে চারটি কারণ যদি বর্তমান সরকার পূরণ করে বা পূরণ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা হবে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের আত্মহত্যার সামিল। কারণ, আমেরিকা একটি  অনুগত ও দূর্বল পাকিস্তান চায়। তার জন্য তারা কখনোই অর্থনৈতিক বা সামরিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হতে দেবে না পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের বর্তমান যেই সামরিক শক্তি তা অনেকাংশে চায়নার উপর নির্ভরশীল। আমেরিকা নিজে তো নয়ই, তার কথা শোনে- যেমন ফ্রান্স, জার্মানী, তুরস্ক সেখান থেকেও পাকিস্তানকে সামরিক সামগ্রী রপ্তানীতে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। ঠিক এ কারণেই ইমরান খান রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলো।

বর্তমানে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গণে যেই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে পাকিস্তানের সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্তির একটা পথ তৈরি হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে ঐ চারটি পক্ষকে সততা প্রদর্শন করতে হবে। তারা যদি

সৎ অবস্থানে ফিরে যায়, তাহলে নির্ঘাৎ ইমরান খান বিপুলভাবে বিজয়ী হবেন। আর বিজয়ী হয়ে যেই ফরেন পলিসি আনবে তার বিরুদ্ধে যদি আমেরিকা আর্মি, আদালতের উপর কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করে তাহলে তারা বলতে পারবে যে, তারা আবার যদি জনগণের বিপক্ষে যায়- তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। ফল স্বরূপ পাকিস্তান আমেরিকার কবল থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।

আমার মনে হয় পাক আর্মির ভেতর এমন ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। কারণ, চায়না ছাড়া পাকিস্তানকে কেউ অস্ত্র দেবে না- বা দিচ্ছে না তা সেনা প্রধানের সাক্ষাৎকারে বুঝা গেছে। রাশিয়ার সাথেও আর্মি ভালো সম্পর্ক চায়। কিন্তু আমেরিকানদের সাথে করা কমিটমেন্ট থেকে বের হবার কোনো সুযোগ তারা বের করতে পারছিলো না। আমেরিকান হস্তক্ষেপ প্রকাশ করে দেয়ার পেছনেও তাদের হাত থাকতে পারে। যেন সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙ্গে।

সেনাবাহিনী দেশপ্রেম নিয়ে কারোর কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। আমার এই সন্দেহ যদি সঠিক হয়, তাহলে ইমরান খান / মেজরিটি নিয়ে পাশ করলে আইন প্রণয়নে পাক আর্মি সাহায্য করবে। এবং সিপিইসি প্রজেক্টসহ রাশিয়ার সাথে সম্পর্কোন্নয়নেও তারা খানকে সাহায্য করবে। ১০টি ড্যাম নির্মাণ, হাইড্রোবিদ্যুৎ প্লাট নির্মাণ সকল ক্ষেত্রে চায়না জড়িতে। অন্যদিকে ইমরান খান সৎ মানুষ। দেড় বছর পর যদি হঠাৎ ইমরান খান পরাজিত হতো, তাহলে আর কোনো আশা ছিলো না সকল কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার। যদি নতুন করে বছরের জন্য ইমরান খান আসে, তাহলে সকল প্রজেক্টগুলো সম্পন্ন হবে আর তাতে, কৃষি শিল্পখাতে পাকিস্তান অনেক এগিয়ে যাবে। তখন আমেরিকা তথা আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংকের কাছে অর্থের জন্য ধর্ণা দিতে হবে না।

যদি এমন ভাবনা না থাকে তাহলে বুঝতে হবে পাক আর্মি পাকিস্তানের সার্বিক অগ্রগতি চায় না। আর তাই তারা সব সময় করাপটেড পক্ষের সাথে থাকে। যখন তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন নতুন কাউকে এনে তাকে সবক শেখায়। যে কারণে পাকিস্তানে সব সময় কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয়। আর কাজে তারা আদালত নির্বাচন কমিশনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। আর দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক পক্ষতো আছেই। এইবারও যদি কোয়ালিশন সরকার হয় বুঝে নিতে হবে, পাক আর্মির হাতে পাকিস্তান বন্দী। আমেরিকার আগ্রাসন সেটিও একটি সমঝোতামূলক পদক্ষেপ। আর অবস্থায় পাকিস্তানের ভবিষ্যত খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন। এ অবস্থায় চায়নাও জেনে যাবে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড। তারা কখনোই সেনা বাহিনীকে বিশ্বাস করবে না। পাকিস্তানী আর্মি কি এতো বড়ো রিস্ক নেবে ?

আশা করি শেষের মন্তব্যটি মিথ্যে প্রমাণিত হবে এবং পাকিস্তানে শান্তি আসবে।

---------------------------------

বাংলাদেশ থেকে
ইমরান ভক্ত
গীতিকার সাগর আল হেলাল
===================


Sunday, April 24, 2022

পাকিস্তানের ক্ষমতা কার হাতে

 


ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর কৌতুহলবশত পাকিস্তানি মিডিয়া দেখা আরম্ভ করি। এখনো দেখছি। যা বুঝলাম, পাকিস্তানী আর্মি সম্পূর্ণ বিষয়ের জন্য দায়ী। নুন লিগ তাদের সৃষ্ট দল। ভুট্টো তাদের ফাঁদে পড়ে জীবন দিয়েছে। ইমরান খানকেও সে পথেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জনগণ সেনাবাহিনীর হাতে জিম্মি। তারা জানে কোথা থেকে কি হচ্ছে, কিন্তু কিছু করতে পারছে না।

সেনাবাহিনী সুপ্রিম কোর্ট ও নির্বাচন কমিশন নিয়ন্ত্রণ করে। এ দুটি তাদের অস্ত্র। ভুট্টোর দল যখন দেখলো, সেনাবাহিনী কথা না শুনলে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। তারাও নুন লিগের পথে হাটছে। 

সেনাবাহিনী যখন দেখলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট হলে ইমরান খান আবার ক্ষমতায় এসে যাবে বেশি সীট নিয়ে। তখনই চক্রান্ত শুরু। সেনাবাহিনী চায় না সংখ্যাগরিষ্ঠ সীট নিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসুক। তাহলে সে সংবিধান পরিবর্তন করে সিস্টেমকে সংশোধন করে ফেলবে। এ সিস্টেম সেনাবাহিনীর তৈরি। এটা তারা ভাঙতে দেবে না। 

ইমরান খানের ভাগ্যে কি আছে এ কথা বলা কঠিন। তবে আমার মনে হয় না, তাকে ক্ষমতায় আসতে দেবে। পাকিস্তানের ভাগ্য সেনাবাহিনী লিখে আসছে, ভবিষ্যতেও লিখবে।

-

বাংলাদেশ থেকে ইমরান ভক্ত।

Monday, April 18, 2022

ক্যারাৎ ক্যারাৎ

সাগর আল হেলাল

===================

ফেসবুকে খবরটা দেখার পর থেকে ভুলতে পারছি না। বিবিসি’র সাথে সাক্ষাৎকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আফশোস করে বলেছেন, তিনি একটি শক্তিশালী বিরোধী দল পেলেন না। মাথা থেকে কথাটা যাচ্ছিলোই না।

নিজের বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম, এ কথার পেছনে কি যৌক্তিকতা আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন একটা কথা বলতে গেলেন কেন? হঠাৎ মিয়াভাই কথা বলে উঠলেন।

মিয়াভাই হলো সিলিং এ ঝুলে থাকা চৌত্রিশ বছর আগে যুবক থাকা সবুজ রঙের ফ্যান। বাইরে নিয়মিত মুছে পরিস্কার রাখায় তাকে বৃদ্ধ বলা বে-মানান। কারণ এমন তরতাজা একজনকে বৃদ্ধ বলা যায় না। তাই আমি তাকে মিয়াভাই বলে সম্বোধন করি। তাকে বয়স্ক বলা যায়। তা-ও শুধু একটি কারণে। আর তা হলো- দেয়ালের সুইচ টিপলে সে যখন দৌড়ায় তখন ছন্দের তালে তালে ক্যারাৎ ক্যারাৎ শব্দ করে। আমি মিয়াভাই ডাকলে শব্দটা যেনো একটু হার্স হয়ে যায়, বুঝি উনি রাগ করছেন।

যাহোক, মিয়াভাই আমার সাথে রাগ করুন আর যাই করুন, তিনি আমার অনেক সমস্যার সমাধান করে দেন। ছোটোবেলায় রেলগাড়িতে নানার বাড়ি যেতাম। রেলের চাকার ছন্দে তালে তালে গান গাইলে কেমন মধুর লাগতো। এখানে মিয়াভাইও তার ক্যারাৎ ক্যারাৎ ছন্দের তালে অনেক কথা আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে থাকেন।

রমজান মাস হওয়ায় আমার ও মিয়াভাই দুজনের শরীরই মনে হয় দুর্বল। আমি চিৎ হয়ে শুয়ে মিয়াভাইয়ের দিকে তাকিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উক্তিটি নিয়ে ভাবছিলাম। ঘুম ঘুমও লাগছিলো। চিন্তাটা মাঝে মাঝেই ছিঁড়েও যাচ্ছিলো। হঠাৎই মিয়াভাইয়ের গলার আওয়াজ পেলাম। ঘুমটা পাশে চলে গেলো। মিয়াভাই যা যা বলেছে, আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম। এ কথাগুলো আমার নয়, মিয়া ভাইয়ের-

নড়া দাঁতে যায়না খাওয়া হাড়

কলিজা খা, হাড়ের আশা ছাড়।

হাড়ের জন্য করিলে আফশোস

দাঁতের ফাঁকে আটকে যাবে গোশ।

গোশ ছাড়াতে উঠে যাবে দাঁত,

তখনে তুই ক্যামনে খাবি ভাত !


অনটনে পড়েছে আজ দেশ

মানুষেরা করছে হাপিত্যেশ,

মনে রাখিস এমন অবস্থায়

সত্যি কিন্তু গণেশ উল্টে যায়।


মিয়াভাই আরও হয়তো কিছু বলতো বা বলেছিলো। কিন্তু, রোজা থাকায় পাশ থেকে ঘুম কখোন আমার চোখে বসেছে খেয়াল নেই। মসজিদে ইফতার করার জন্য আহ্বান করায় ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। মাথাটা ঝিমঝিম করছিলো। বুকের উপর মিয়াভাই তখন অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলছিলো। আমার কানে ভেসে এলো- ক্যারাৎ, ক্যারাৎ, ক্যারাৎ . . . .

-

১৮.০৪.২০২২


Friday, April 8, 2022

কবি বন্দে আলী মিয়া



কবি বন্দে আলী মিয়া ছিলেন একাধারে গীতিকার, উপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার। তিনি পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মুন্সী উমেদ আলী ছিলেন পাবনা জজকোর্টের একজন নিম্ন পদের কর্মচারী। শিক্ষা কর্মজীবন তিনি পাবনার মজুমদার একাডেমী থেকে ১৯২৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে কলকাতা আর্ট একাডেমীতে ভর্তি হন এবং ১ম বিভাগে উত্তীর্ন হন। ১৯২৫- ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দেশ বিভাগের পর তিনি কলকাতা জীবনে রবীন্দ্র-নজরুলের সান্নিধ্য লাভ করেন। তখন তাঁর প্রায় ২০০ খানা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। সে সময় বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানীতে তাঁর রচিত পালাগান নাটিকা রের্কড আকারে কলকাতার বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬৪- পর প্রথমে ঢাকা বেতারে পরে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেন।

তিনি তাঁর কবিতায় পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় নৈপুন্যের পরিচয় প্রদান করেছেন। প্রকৃতির রূপ বর্ণনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ আজও অমর হয়ে আছে। গ্রন্থসমূহ কাব্যগ্রন্থ ময়নামতির চর (১৯৩২) অনুরাগ (১৯৩২) অনুরাগ (১৯৩২), পদ্মানদীর চর (১৯৫৩), মধুমতীর চর (১৯৫৩), ধরিত্রী (১৯৭৫) উপন্যাস অরণ্য গোধূলী ঝড়ের সংকেত নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮) জীবনের দিনগুলো বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১), শেষ লগ্ন (১৯৪১), অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯), শিশুতোষ গ্রন্থ চোর জামাই (১৯২৭) মেঘকুমারী (১৯৩২) মৃগপরী (১৯৩৭) বোকা জামাই (১৯৩৭) কামাল আতার্তুক (১৯৪০) ডাইনী বউ (১৯৫৯) রূপকথা (১৯৬০) কুঁচবরণ কন্যা (১৯৬০) ছোটদের নজরুল (১৯৬০) শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা (১৯৬৩) বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা সাত রাজ্যের গল্প (১৯৭৭)

সম্মাননা শিশু সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, ১৯৭৮ সালে রাজশাহীর উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক লাভ করেন। তিনি মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। মৃত্যু ১৯৭৯ সালের ১৭ জুন রাজশাহীতে তাঁর মৃত্যু হয়।
-

সাগর আল হেলাল
০৮.০৪.২০২২
============

আইকে সরকার

ইমরান খান তার দেশের সংসদ ভেঙে দিয়েছে।  যুক্তরাস্ট্রের হস্তক্ষেপে  নওয়াজ শরীফ ও আসিফ জারদারী গং এর পেছনে কাজ করছে। এ কথা  বলছে সে দেশের সামাজ...